
এটি কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগের লক্ষণ। বর্ষাকালে এই রোগের লক্ষণগুলো খুব বেশি আকারে বেড়েছে। বাংলাদেশে বর্ষার সময় এই রোগ বেশি পরিমাণে হতে দেখা যায়। সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে বাংলাদেশের অনেক জেলাগুলোতে এই কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগের ঘটনা বাড়ছে এবং লোকেরা এটি নিয়ে বেশ চিন্তিত। সারা দেশে কনজাঙ্কটিভাইটিসের কেস বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এই ঘোর বর্ষায় এই রোগ থেকে বাঁচা যাবে কী ভাবে সেই নিয়ে সকলে চিন্তিত। কনজাঙ্কটিভাইটিস কী? কীভাবে এটির সংক্রমণ হয়? এটি প্রতিরোধেরই বা উপায় কী? সেই সম্পর্কেই এই প্রতিবেদনে বলা হল।
কনজাঙ্কটিভাইটিস কী?চিকৎসাবিদরা বলেন যে, কনজাঙ্কটিভাইটিস হল কনজাঙ্কটিভা অর্থাৎ চোখের সাদা অংশে প্রদাহ। কনজাঙ্কটিভাইটিস ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ। এতে চোখ কড়কড় করে, চোখ লালা হয়ে যায়। বর্ষাকালে নিম্ন তাপমাত্রা এবং উচ্চ আর্দ্রতার কারণে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলে তা চোখে সংক্রমণ ঘটিয়ে এই কনজাঙ্কটিভাইটিস সৃষ্টি করে।
কীভাবে এটির সংক্রমণ হয়? কনজাঙ্কটিভাইটিস কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংক্রামক হতে পারে এবং ইতিমধ্যে সংক্রামিত কারও সংস্পর্শে এলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগটি ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে সাধারণ উপায় হল যখন সংক্রামিত ব্যক্তি বারবার তাঁর চোখ স্পর্শ করে এবং তারপর যদি সেই হাত পরিষ্কার করতে ভুলে যায়। তারপর সেই হাত সুস্থ ব্যক্তির হাতের বা চোখের সংস্পর্শে আসে তবে হতে পারে এই রোগ।
যদি কোন ব্যক্তির কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগ থাকে, তবে তার চোখের দিকে তাকানো উচিত না। তাঁর রুমাল, তোয়ালে, মোবাইল ইত্যাদি স্পর্শ করা উচিত না।এবং সেই আক্রান্ত ব্যক্তি কালো চশমা পরে থাকা উচিত। যেনো কারো চোখের স্পর্শ অন্য চোখকে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে না পারে
কিন্তু এত সাবধানতার পরও যদি এই রোগ হয় তবে কী করবেন? চোখের স্বাস্থ্য প্রায়ই অনেকে উপেক্ষা করেন। তবে বর্ষাকালে চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ছোট ছোট পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ডাক্তাররা বলছেন যে প্রথম পদক্ষেপটি হল ঘন ঘন আপনার চোখ স্পর্শ করা যাবেনা, বিশেষ করে যদি আপনার হাত সঠিকভাবে ধোয়া না হয়।
কনজাঙ্কটিভাইটিস ভাইরাল সাধারণত নিজে থেকে সেরে যায় কিন্তু এই সময়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং কন্টাক্ট লেন্স না ব্যবহার করাই ভাল। সংক্রমণের বিস্তার এড়াতে, বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের নিয়মিত তাদের হাত ধোয়া উচিত এবং সংক্রামিত ব্যক্তিরও তাই করা উচিত।
যদি আপনার চোখ শুষ্ক মনে হয় তবে লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করুন। শিশুরা খেলাধূলা করার পর তাদের চোখ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ওয়াইপস দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, নয়তো চোখ ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসতে পারে।