বার্সেলোনার পর পিএসজি অধ্যায় শেষে এবার ইন্টার মায়ামিতে পাড়ি দিচ্ছেন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোকে আর্জেন্টাইন তারকা জানিয়েছেন, প্যারিসে কাটানো দুই বছর মোটেও উপভোগ করেননি তিনি।
লিওনেল মেসি।
২০২১ সালের আগস্টে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বার্সেলোনা ছাড়তে হয়েছিল মেসিকে। স্পেন ছেড়ে শেকড় গেড়েছিলেন ফ্রান্সে। সেখানে কাটিয়েছেন দুবছর। পিএসজির হয়ে এসময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে না পারলেও জিতেছেন দুটি লিগ ট্রফি ও একটি ফরাসি সুপার কাপ শিরোপা। সব মিলিয়ে ৭৫ ম্যাচ খেলে ৩২ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ৩৫টি। মাঠ মাতিয়েছেন প্রিয় বন্ধু নেইমারের সঙ্গে। তবে এতকিছুর পর প্যারিসে সময়টা উপভোগ করেননি বলেই মন্তব্য বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা।
গত ৭ই জুন মুন্দো দেপার্তিভোকে দেয়া সাক্ষাতকারে মেসি বলেন, ‘প্যারিসে এ দুবছর আমি মোটেও খুশি ছিলাম না। আমি বা আমার পরিবার কিছুই উপভোগ করিনি।’
মেসির মন পড়েছিল বার্সেলোনাতেই। যেখানে তিনি কাটিয়েছেন প্রায় দুই যুগ। তার তারকা হয়ে ওঠা, বিয়ে করা, সন্তানের বাবা হওয়া সব কিছুরই সাক্ষী ছিল ক্যাম্প ন্যু। সেখানেই আবার ফেরার ইচ্ছে ছিল তার। তবে মায়ামিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তেও পরিবার খুশি বলে জানান ৩৫ বছর বয়সী এ তারকা।
তিনি বলেন, ‘বার্সেলোনায় আমার সন্তানরা তাদের স্কুল অনেক উপভোগ করতো। সেখানে তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেও আমার ভালো লাগতো। এটাও সত্যি আমার পরিবার খুব এক্সাইটেড ছিল আবারো বার্সেলোনার ফেরার বিষয়ে। আমরা কখনই বার্সা ছাড়তে চাইনি। মায়ামিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা আমার একার না, আমার পরিবারই নিয়েছে। আর এটা নিয়ে সবাই খুশি।’
বার্সেলোনা নিয়ে মেসির এক সাগর আক্ষেপ। যেভাবে ক্লাবকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন তার কিছুই পারেননি। এ সবকিছু নিয়ে এখনো হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের।
মেসি বলেন, ‘আমি অনেকটা সময় বার্সায় ছিলাম। যেভাবে ক্লাবকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলাম, তার কিছুই পারিনি। এটা এখনো আমাকে পীড়া দেয়। আমি এখন পরিবার নিয়ে একটু আড়ালে থাকতে চাই। যেখানে আমাদের নিয়ে আলোচনা কম হবে। যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল খেলার সঙ্গে পরিবারকেও বেশি সময় দিতে চাই।
এদিকে গুঞ্জন আছে, ইন্টার মায়ামিতে মেসির সঙ্গে যোগ দিতে পারেন সাবেক বার্সা সতীর্থ বুসকেটস ও জর্দি আলবা। যদিও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।